.:: Black Hole Mystery of The Universe ::.

মহাবিশ্বের সবচাইতে রহস্যময় বস্তু হল ব্ল্যাক হোল। মহাবিশ্বের কিছু স্থান আছে যা এমন শক্তিশালী

মহাকর্ষ বল তৈরি করে যে এটি তার কাছাকাছি চলে আসা যেকোন বস্তুকে একেবারে টেনে নিয়ে যায়, 

হোক তা কোন গ্রহ, ধুমকেতু বা স্পেসক্রাফট, তাই ব্ল্যাক হোল। পদার্থবিজ্ঞানী জন হুইলার এর নাম 

দেন ব্ল্যাক হোল। কেন? কারন ব্ল্যাক হোলের মহাকর্ষ বল এতই বেশি যে এর আকর্ষন থেকে এমনকি 

আলোও(ফোটন) বের হয়ে আসতে পারে না।



১৯১৬ সালে আইনস্টাইন তার জেনারেল রিলেটিভিটি তত্ত দিয়ে ধারনা করেন ব্ল্যাক হোল থাকা সম্ভব।

 আর মাত্র ১৯৯৪ সালে এসে নভোচারিরা প্রমাণ করেন আসলেই ব্ল্যাক হোল আছে। এটি কোন সাইন্স 


ফিকশন নয়। জার্মান বিজ্ঞানী কার্ল শোয়ার্জস্কাইল্ড ১৯১৬ সালেই দেখান যেকোন তারকা ব্ল্যাক হোলে 


পরিণত হতে পারে। সূর্যের ব্যাসার্ধ (৮৬৪,৯৫০মাইল) যদি কমতে কমতে সঙ্কুচিত হয়ে ১.৯ মাইলে 


পরিণত হয় তাহলে সূর্যও ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। তিনি ঘটনা দিগন্তের ব্যাসার্ধ মাপতে সক্ষম হন।

ঘটনা দিগন্ত হল কোন এলাকা ব্যাপী ব্ল্যাক হোলের প্রভাব থাকবে সেই এলাকার ব্যাসার্ধ। বিজ্ঞানীরা 

প্রথম Cygnus X-1 নামক তারকারাজি থেকে মাত্রাতিরিক্ত এক্সরে রেডিয়েশন বেরুচ্ছে খেয়াল করেন।


১৯৭১ সালে বিশ্বের প্রথম এক্সরে স্যাটেলাইট এই এক্সরে রেডিয়েশনের মূল সূত্র বের করে হতবাক 


হয়ে দেখেন এটা একটা অতি বৃহৎ কিন্তু অদৃশ্য বস্তু থেকে আসছে। চতুর্মাত্রিক মহাবিশ্বের দ্বিমাত্রিক 


চিত্রায়ন করার চেষ্টা ব্ল্যাক হোলের একটা বিশেষত্ব হচ্ছে এরচারপাশে যখন আকর্ষিত গ্যালাক্সি এসে 


পড়ে তখনএটি গ্যালাক্সি বা যেকোন মহাজাগতিক বস্তুকে স্পাইরাল একটা ওয়ে(WAY) তে শুষে নিতে 


থাকে। এটা অনেকটা এমন যে একটা টেবিলের মাঝখানে ফুটো করে সেই ফুটোটা যদি টেবিলের লেভেল


 থেকে একটু নিচে থাকে তাহলে একটা বল টেবিলে ছেড়ে দিলে তা ঘুরতে ঘুরতে সেই ফুটোতে পতিত 


হবে একসময়। ব্ল্যাক হোল একটা গ্যালাক্সিকে শুষে নিচ্ছে ব্লাক হোল আসলে মৃত তারকা। তারকা মানে


 হল উজ্জ্বল নক্ষত্র। যাদের আলো আছে। যেমন – সূর্য। ভারতের অসাধারন মেধাসম্পন্ন বিজ্ঞানi


চন্দ্রশেখর সুব্রাহ্মন কোন তারা ব্লাক হোল হতে পারে তার একটা সীমা ঠিক করে দিয়েছেন। তা হল 

সুর্যের ভরের ১.৫ ভাগ বেশি ভরের সব তারা নিজেদের জ্বালানী শেষহয়ে গেলে নিজেদের ভরে নিজেরাই


 সঙ্কুচিত হয়ে সসীম আয়তন কিন্তু অসীম ঘনত্বের ব্ল্যাক হোলে পরিণত হবে। বাকিরা পালসার বা


নিউট্রন তারকা হবে।




(সংগ্রহীত)

1 comment: